দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়
বৈশালী দিয়ে শুরু হল।
এবার যোগদান মেলার পাল্টা ‘বহিষ্কার মেলা’ শুরু করতে চলেছে তৃণমূল।
দলে যাঁরাই বেসুরো তাঁদেরই বহিষ্কার করার পথে নামতে চলেছে কালীঘাট।
বালির বিধায়কের পরেই তালিকায় রয়েছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।
একদা সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল এক সময় মমতার ঘনিষ্ঠতমদের তালিকায় ছিলেন। সাংবাদিকতা ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অনুরোধে’ তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ। কোন্নগরের বাসিন্দা প্রবীর ঘোষালকে ২০১৬ সালে উত্তরপাড়ার বিধায়ক করেন মমতা। জনশ্রুতি, জেলার রাজনীতি তে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের বিপরীতেই তাঁর অবস্থান।
সম্প্রতি পোড় খাওয়া সাংবাদিক ও তৃণমুল কংগ্রেস কে জন্মলগ্ন থেকে কাছ থেকে দেখা প্রবীর কোনও কোনও ইস্যুতে প্রকাশ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন। সেগুলো অবশ্য বেশিরভাগই স্থানীয় ইস্যু।
অতি সম্প্রতি কোন্নগর কানাইপুরের একটি রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
তবে তাঁর বিজেপি যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, প্রবীর স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতে যাবেন না।
এ কথা ঠিক যে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী মনে করতেই পারেন তিনি এমন কথা কৌশলগত ভাবেও বলেছেন। তবু ক্যামেরার সামনে এ কথা বলার পর তাঁকে বেসুরো তালিকায় ফেলা যায় কি না, তা নিয়ে দলেরই একাংশে সংশয় আছে।
প্রশ্ন উঠেছে, প্রবীর কি আদৌ বেসুরো? নাকি জেলার ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধের কারনেই তাঁর নাম উঠেছে বহিষ্কারের তালিকায়?
সূত্রের খবর এর মধ্যে বড় কোনও সিদ্ধান্ত বদল না হলে খুব দ্রুত বহিষ্কার করা হবে প্রবীরকে।
প্রবীরের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদের নাম রয়েছে এই তালিকায়।
যদিও তৃণমূলের এ হেন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়ের সম্ভাবনা দেখছে বিজেপি।