নীল রায়:
সিপিএম-বিজেপির ভোট বিভাজনে রাজ্যে কমপক্ষে ৩৬ থেকে ৩৮ টি আসনে বাজিমাত করবে তৃণমূল। এমনই ভাবনা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বে। জানা গিয়েছে এক্সিট পোল যে সংখ্যাই দিক বিজেপির পক্ষে, তৃণমূল নেতৃত্ব সম্পূর্ণ অন্য অংক কষেছে। তাদের যুক্তি, এখনও রাজ্যের বিরোধী ভোটারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি প্রকৃত বিরোধী কে? কাকেই বা তারা ভোট দেবে? অবশ্যই এই বিভাজন সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে! আর এই সুযোগেই রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৬ থেকে ৩৮ টি আসন আসতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে। রাজ্যের বরিষ্ঠ মন্ত্রীর কথায়, একটি লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি করে বিধানসভা রয়েছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদের সঙ্গে লড়াই হবে হয় বিজেপির বিরুদ্ধে, নয় সিপিএমের সঙ্গে। ধরুন চারটি কেন্দ্রে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই হল বিজেপির, বাকি তিনটি বিধানসভায় সিপিএমের সঙ্গে। এইরকম ভোটব্যাঙ্কের অসম বন্টনের সুযোগে ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে তৃণমূলের আসন সংখ্যা।
ভোট বিশেষজ্ঞরা অবশ্য শাসকদলের এমন যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের কথায়, এবারের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত সরাসরি মেরুকরণের ভোট হয়েছে। তৃণমূলপন্থী ভোটাররা তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন। বিরোধী ভোটাররা সরাসরি ভোট দিয়েছেন বিজেপিতে। বাম ভোট ব্যাঙ্কের বড় অংশের যাওয়ার সম্ভাবনা গেরুয়া শিবিরের দিকে। তাই তৃণমূল নেতৃত্ব যে আশায় বুক বাঁধছে তা বুমেরাং হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।