চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লে-লাদাখ সফরের পর তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। এবার সরাসরি লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। বললেন, “দেশপ্রেমিক লাদাখিরা চিনা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। তারা একটি সতর্কবার্তা দিচ্ছে। তাদের এই সতর্কতা উপেক্ষা করা ভারতকে খুব বেশি মূল্য দিতে হবে।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষের পরেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করে করেন কারনাডের সাংসদ। ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেছিলেন, “হিমালয়ের মানুষরা বলছেন চিন তাঁদের জমি কেড়ে নিয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি। কেউ তাহলে মিথ্যে কথা বলছেন।” রাহুলের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লাদাখের বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, “চিন তাঁদের জমি কেড়ে নিয়েছে।” শুক্রবার সকালে প্রথমে লেহ-তে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর সেখান থেকে লাদাখ যান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এমএম নারভানে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থানকে সমর্থন করেননি রাহুল গাঁধী।
ওইদিন জাঁসকর রেঞ্জে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী এবং আইটিবিপি-র জওয়ান ও অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। লাদাখ সীমান্তে দেশের সামরিক পরিস্থিতি কতটা টানটান তা পর্যালোচনা করেন। তাছাড়াও ২০ জন জওয়ান শহিদ হওয়ার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে সেনাবহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের প্রশংসা করেন। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “সাম্রাজ্য বিস্তারের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। এটা উন্নয়নের যুগ। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, যারা জোর করে অন্যের জমি দখল করতে গিয়েছে, তাদের হয় হারতে হয়েছে, নইলে পালিয়ে যেতে হয়েছে। দুর্বল কখনও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। সাহসীরা পারে।” প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তৃতার পর স্বাভাবিকভাবেই নড়েচড়ে বসেছে চিন। তবে এদিন রাহুলের টুইট বা ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নীতি তথা সফরের সমালোচনা থাকলেও, চিনের বিরুদ্ধে একটি শব্দও ব্যয় করেননি তিনি।