চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
আজ বৃহস্পতিবার হাথরসে মৃতের বাড়িতে যাবেন প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi) ও অপর কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত তরুণীকে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তি ধর্ষণ করে। গত মঙ্গলবার দিল্লির হাসপাতালে ২০ বছরের ওই তরুণী মারা যান। পুলিশ রাতের বেলায় তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা দেশ। বুধবার সকালেই এই বিষয়ে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। টুইট করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ চেয়েছেন কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়াও। তারপর যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে রয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়া। একগুচ্ছ টুইট করে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে আক্রমণ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, “আমি হাথরাসের তরুণীর বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। এমন সময় তাঁকে জানানো হয় তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছেন। আমি একজন পিতার কান্না শুনেছি।” আরও একটি টুইটে তিনি বলেছেন, “উনি আমাকে বলেছেন, উনি কেবলমাত্র সন্তানের জন্য ন্যায়বিচার চান। গত রাতে তাঁকে নিজের মেয়ের দেহ শেষবার বাড়ি নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য করার সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি। ধর্ষিতা তরুণী ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করার বদলে আপনার সরকার মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের শেষ অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকার কোনও অধিকার নেই যোগীর।”
হাথরসের ঘটনার পরে পরেই উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে এক দলিত যুবতীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে ! বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে, লখনউ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে বলরামপুরে। হাথরস গণধর্ষণ (Hathras Gangrape) কাণ্ডে যখন সরগরম দেশ। এই আবহেই ফের গণধর্ষণের জেরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। তারপর রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রার সফরে নতুন করে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে হাথরস ও বলরামপুরে।