চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
যে রাফাল (Rafael) চুক্তি নিয়ে গত লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছিলেন বিরোধিরা। ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভারতীয় বায়ু সেনার শক্তিবৃদ্ধি করতে আসছে সেই রাফাল যুদ্ধ বিমান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, আগামী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম দফায় চারটি রাফাল জেট ভারতে পাঠিয়ে দেবে ফ্রান্স। সেগুলি ল্যান্ড করবে অম্বালা এয়ারবেসে। পরের দফায় আসবে আরও দুটি। সব ঠিক থাকলে এ বছরের মধ্যেই ছ’টি রাফাল ফাইটার জেট হাতে পেয়ে যাবে ভারতীয় বায়ুসেনা। চিনের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনার স্নায়ু যুদ্ধের আবহে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে এগোতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর ভারত। ইতিমধ্যে বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে রাশিয়ার থেকে ১২টি অত্যাধুনিক সুখোই ফাইটার জেট ও ২১টি নয়া ভার্সনের মিগ-২৯ কেনার পরিকল্পনা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
রাফাল যুদ্ধ বিমানের সংযোজন নিঃসন্দেহে পিপলস লিবারেশন আর্মির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে বলেই মনে করছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Airforce) সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ১০টি রাফাল জেট তৈরি রেখেছে ফরাসি সংস্থা। ছ’টি রাফাল চলে আসবে চলতি বছরেই। আবুধাবির আল ধাফরা এয়ারবেস থেকে সেগুলিকে উড়িয়ে আনবেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটরা। চলতি বছর মে মাসেই চারটি রাফাল ভারতের হাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মহামারীর কারণে এই সময় পিছিয়ে যায়। কিন্তু, ভারত-চিন যুদ্ধের আবহে জুলাই মাসেই সেগুলো ভারতে এনে বায়ু সেনার শক্তিবৃদ্ধি করতে চায় ভারত।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র মজুত করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (People Liberation Army)। ভারতের আকাশসীমার খুব কাছাকাছি উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান। পিছিয়ে নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত সেনা, টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক, বসানো হয়েছে জমি থেকে আকাশমুখী ক্ষেপণাস্ত্র, এয়ার সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। রাশিয়া, ইজরায়েলের মতো একাধিক দেশ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সামরিক অস্ত্র কিনেছে ভারত। যা দফায়-দফায় দেশে এসে পৌঁচছে। এই সমস্ত শক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আর রাফাল যুদ্ধবিমান। ভারতের বায়ু সেনা ক্ষেত্রে এহেন শক্তি সংযোজনে চিন্তায় ফেলবে চিনকে, এমনটাই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।