নীল রায়।
“গুমনামি” ছবিতে নেতাজির শেষ পরিণতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। ছবির নাম বদল নিয়ে তাই সেন্সর বোর্ড ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। সম্প্রতি সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত “গুমনামি” ছবির “ফার্স্ট লুক” প্রকাশিত হয়। সেখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে বেশ কয়েকটি রূপে দেখানো হয়। বিতর্ক দেখা দেয় ৭০-এর দশকে ফৈজাবাদের এক সাধুকে গুমনামী বাবাকে নেতাজী রূপে দেখানোয়। এদিন তথ্য প্রমাণ দিয়ে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, “ফৈজাবাদের ওই বাবা যে আদৌ নেতাজী নয় তার যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় কয়েকটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে এই ছবিটিতে তিনি নেতাজিকে গুমনামি বাবা বলেননি। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, কেন তিনি ছবির নাম “গুমনামি” দিয়েছে? ছবির অবিলম্বে বদলের দাবি জানাচ্ছি।”
২ অক্টোবর শারদোৎসবের সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত এই ছবিটি মুক্তি পাবে। তার আগে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সংগঠন অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেন্সর বোর্ড ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপের দাবি জানাবেন। জয়দীপ জানিয়েছেন, নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য সংক্রান্ত জটিলতার গত ৭৩ বছরে সমাধান হয়নি। ছবিটি মুক্তি পেলে বহু বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হবে। কারণ, নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনের প্রশ্ন যখনই এসেছে, তখনই ভারত সরকার বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলে পিছিয়ে এসেছে। এদিন সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।