নিজস্ব সংবাদদাতা:
এই গর্জে উঠলেন, এই নরম হলেন তিনি। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদ সম্প্রতি আব্দুল মান্নানের কেন্দ্র হুগলির চাঁপদানীতে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন। সেই ভাষণে বিজেপিকে আসন্ন লোকসভা ভোট জয়ের পরামর্শও দিলেন কল্যান। আবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে দালাল বলতেও বাধল না তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহিমা কীর্তন তো ছিলই।
বিজেপিকে পরামর্শ কল্যানের
প্রথমত বিজেপিকে আসন্ন লোকসভা ভোটে বাংলার মানুষের মন জয়ের ফর্মুলা বাতলিয়ে দিলেন কল্যান। কল্যান বুঝিয়ে পরমার্শ দেন—মানুষের পাশে দাঁড়ালে তবেই ভোটে জেতা যায়। মানুষের পাশে, শ্রমিকের পাশে, কৃষকের পাশে, গরিবের পাশে, ছাত্রের পাশে, মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে হবে আগে। যদি দাঁড়াতে পারে ওরা, তবে ওরাও আসবে। এদিন অবশ্য গেরুয়া শিবিরকে ব্যঙ্গও করেন কল্যান। বলেন, ওরা কোর্টে হেরেছে ভোটেও হারবে। কোর্টে ওদের বলে বলে হারিয়েছি। লোকসভা ভোটেও তাই দেখবেন।
মান্নান বিজেপির দালাল, মত কল্যানের
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসলেন কল্যান। বললেন, মান্নান বিজেপির দালাল। কল্যান মনে করিয়ে দেন, কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি মিলে রাজ্যে তৃণমূলকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন স্বপ্নই থাকবে। এরপরই কল্যানের ইঙ্গিত বলতে চান— স্থানীয় বিধায়ক নাকি তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কংগ্রেসকেও তুলোধোনা করেন কল্যান। ব্যঙ্গের সুরে বলেন— এরপর রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না। ওদের অস্তিত্ব থাকলে থাকবে মিউজিয়ামে। হুগলির চাঁপদানীর বিধায়কের এলাকায় দাঁড়িয়ে কল্যান বলে দেন, লোকে এখানকার বিধায়কের থেকে কাজ পান না। কংগ্রেসের লোকও সার্টিফিকেটের জন্য আমার কাছে আসে। আমি করে দিই। মোদ্দা কথা, এদিন আব্দুল মান্নানকে অকর্মা তথা বিজেপির ঘনিষ্ট হিসেবে নিজের ভাষণে তুলে ধরেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার মহিমা কীর্তনে কল্যান
এতকিছুর পাশাপাশি যথারীতি নিজের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহিমা কীর্তন করতে ভোলেননি শ্রীরামপুরের সাংসদ। কল্যানের বক্তব্য, ২০১১ সালে ছিল রাজ্যের স্বাধীনতা যুদ্ধ। মানুষের স্বতস্ফুর্ত যোগদানে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল জিতে ছিল প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ। এবার লোকসভা ভোটে দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। গোটা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জিততে হবে আমাদের। হটাতে হবে মোদীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য নেতৃত্বে।