চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ভোকাল টনিকে চাঙ্গা ভারতীয় বায়ুসেনা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সফর করে যেতেই শনিবার সকালে সীমান্তের আকাশে নিয়মিত টহল দিচ্ছে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনা এহেন শক্তি প্রদর্শনের পর ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছে চিন। সুখোই, মিগের পাশাপাশি উড়ছে অ্যাপাচে অ্যাটাক কপ্টার। লাগাতার চলছে চিনের গতিবিধির কড়া নজরদারি। চিনের চোখে চোখ রেখে মহড়া সারছে বায়ুসেনাও। শুধু ফাইটার জেটই নয়। সমরাস্ত্রবহনকারী বিমানও ওঠানামা করেছে ফরওয়ার্ড এয়ারবেসে। পৌঁছে যাচ্ছে রসদও। আমেরিকার সি-১৭ ও সি-১৩০জে-র পাশাপাশি রুশ বিমান ইলুশিন-৭৬ ও আন্তোনভ-৩২-তে নিয়মিত যাতায়াত করছেন সেনাকর্মীরা। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে বলা হয়েছে, “গালওয়ান উপত্যকায় যদি সংঘর্ষ হয় তাহলে বায়ুসেনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। একদিকে বায়ুসেনা আক্রমণ করতে পারে, অন্যদিকে সাহায্যও করতে পারে। দরকার পড়লে রসদ ও সেনা সরবরাহ করতে হবে আমাদেরই। তাই আমাদের সব রকমের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হচ্ছে। যেভাবে হোক, জওয়ানদের সাহায্য করতে তৈরি আমরা।”
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে এক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বলেছেন, “এই এলাকায় হামলা হলে সীমান্ত লাগোয়া ছাউনিগুলির গুরুত্ব সবথেকে বেশি। তাই আমাদের সবথেকে বেশি তৈরি থাকতে হচ্ছে। প্রাথমিক ধাক্কাটা আমাদের সামলাতে হবে। তারপরে পিছনে ছাউনি থেকে সাহায্য আসবে।” তিনি আরও বলেছেন, “সব ধরনের প্রতিকূল অবস্থার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা তৈরি। সব রকমের প্রস্তুতি সেরে রাখছি আমরা। বর্তমান দিনে যুদ্ধের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বায়ুসেনা। তাই আমাদের ১০০ শতাংশ তৈরি থাকতে হচ্ছে।” ইতিমধ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে ছটি রাফাল যুদ্ধবিমান। সম্প্রতি রাশিয়ায় গিয়ে বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র আমদানির বিষয়ে তদারকি করে এসেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই সমস্ত বিষয়ে নজর রেখেছে বেজিং। ইতিমধ্যে সামরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি ভারত বেশকিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে চিনের বিরুদ্ধে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়টিকে মাথায় রেখে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছেন আপনার রাষ্ট্রপতি জিনপিং।
১৫ জুন লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে ভারতের সঙ্গে পিপলস লিবারেশন আর্মির অতর্কিত হানা ২০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যুর পর থেকেই গালওয়ান ঘাঁটি সহ ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত মে মাসে চিনা ফৌজ ভারতীয় সীমানায় গতিবিধি বৃদ্ধি করায় পরিস্থিতি অনেকদিন ধরেই উত্তপ্ত। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয়তা বাড়ানোয় চিন্তা বেড়েছে শিং জিনপিংয়ের সরকারের (Xi Jinping Govt.)। কারণ ভারত যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি চিনের ওপর ডিজিটাল স্ট্রাইক করে ৫৯টি চিনা অ্যাপ (Chinese App) যেমন নিষিদ্ধ করেছে। ভারতে চিনা বিনিয়োগ ঠেকাতে তৎপর হয়েছে।