Home / TRENDING / সুব্রতর চ্যালেঞ্জ

সুব্রতর চ্যালেঞ্জ

প্রসেনজিৎ মাহাতো:

মহমেডান কোচ হিসেবে রবিবার কাজ শুরু করছেন সুব্রত ভট্টাচার্য। ফুটবলার হিসেবে তাঁর পরিচয় মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হিসেবে। ক্লাবকে খেলোয়াড় হিসেবে দিয়েছেন ৭৮ ট্রফি। কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য শুধু বাগানেই সীমাবদ্ধ নয়। মোহনবাগান ছাড়াও ইস্টবেঙ্গল, টালিগঞ্জ, ইউনাইটেড স্পোর্টস, এফসিআই, পুলিশ, ভবানীপুরের কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্যের তালিকা বেশ দীর্ঘ। এবার তাঁকে ময়দান কাঁপাতে দেখা যাবে মহমেডান কোচের ভূমিকায়। নতুন দায়িত্ব নিয়ে সুব্রত নিজেও বেশ উত্তেজিত। ইতিমধ্যেই মহমেডান কর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকদফা আলোচনা সেরেছেন। দলগঠন থেকে প্রস্তুতির বিষয়টা সেখানে জোর পেয়েছে বেশি। সোমবার পুরোদমে মহমেডান মাঠে অনুশীলনে নামার আগে ফুটবলারের সঙ্গে পরিচয় সারতে ক্লাবে সকলকে রবিবার সকালে ডেকেছেন সুব্রত। থাকবেন শীর্ষস্থানীয় কর্তারা। যে দায়িত্বটা নেন, তাতে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার কোনও ঘাটতি থাকে না। তাই যখনই সুব্রতর কাছে প্রশ্ন রাখা হল, মহমেডানের কোচিং করানোটা কি একটা নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন, তখন তাঁর উত্তর, ‘চ্যালেঞ্জ তো সবসময় থাকে। ভাল খেলা, ভাল কোচিং করা। এটা কোনও নতুন ব্যাপার নয়। বাবলু কখনও চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না। মহমেডান বড় দল, তাদের অনেক সমর্থক। বড় সাফল্য এনে ওদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা থাকবে।’‌ মহমেডানে কোচিং করা নিয়ে সুব্রতর গলায় আত্মবিশ্বাসী সুর। বলেন, ‘এফসিআইয়ের কোচের ভূমিকায় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে হারিয়ে শতবার্ষিকী কাপ জিতেছিলাম। টালিগঞ্জকে কলকাতা লিগে রানার্স করেছি। চ্যাম্পিয়নই হয়ে যেতাম, বড় দল ফুটবল প্রশাসনের দাক্ষিণ্য না পেলে। পুলিশ কোচ থাকতে সুপার লিগ খেলেছি। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছি। ইউনাইটেড স্পোর্টসে কোচিং করার সময় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ড জিতেছি। আর ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে ফেডারেশন কাপ জয়, মোহনবাগান কোচের ভূমিকায় জাতীয় লিগ, ফেডারেশন কাপ–‌সহ ২০টা ট্রফি জয়ের কথা সকলেই জানে। এই সাফল্যগুলোই আমার দক্ষতার প্রমাণ। গত মরশুমে ভবানীপুরকে চ্যাম্পিয়ন করে প্রিমিয়ার ডিভিশনে তুলি। তারপর কোনও কারণ ছাড়াই ওরা আমাকে রাখল না। কেন কেমন করল, সেটা বললও না। তার জন্য দুঃখ একটা তো আছেই। তবে দুঃখ নিয়ে বসে থাকলে তো হবে না। এগিয়ে যেতে হবে। মহমেডান ক্লাবের প্রস্তাব পেতে সাড়া দিতে দ্বিধা করিনি। মহমেডানের কোচ হয়ে বড় সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ওরা তো তথাকথিত ছোট দল নয়। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের থেকেও ওদের সমর্থক বেশি। সারা ভারতে যারা ছড়িয়ে আছে। ওদের মাঠ ও পরিকাঠামো ভাল। কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেও ভাল লেগেছে। এবার কাজে নেমে পড়ার পালা।’‌ কলকাতা লিগের জন্য দল কতটা তৈরি?‌ কী ধরনের প্রস্তুতি ভেবে রেখেছেন?‌ সুব্রত জানালেন, ‘‌একটা দল কর্তারা বাছাই করেছেন। আপাতত তিন সপ্তাহ মহমেডান মাঠে প্র‌্যাকটিস হবে। যেখানে মূলত ফিজিক্যাল ফিটনেস বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হবে। এই পর্যায়ে ফুটবলারদের কার কতটা দক্ষতা, সেটাও যাচাই করব। পরের তিন সপ্তাহ আবাসিক শিবির হবে। কল্যাণীতেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওখানে টেকনিক ও ট্যাকটিক্সের ওপর জোর দেব। ওইসময় ফুটবলারদের কে কোন জায়গায় ফিট করবে, সেটা বুঝে নেব। যাদের মনে হবে চলবে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন ফুটবলার নেওয়ার কথা বলব কর্তাদের।’‌ এবার কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের মতো মোহনবাগানেও বিদেশি কোচ। লড়াই কতটা কঠিন?‌ সুব্রতর জবাব, ‘‌বিদেশি কোচ তো আগেও ছিল। মর্গান, এলকো স্যাতোরি, করিমদের তো হারিয়েছি। ভুললে চলবে না, এদেশে প্রদীপদা (‌পি কে ব্যানার্জি)‌, অমলদা (অমল দত্ত)‌, নঈমদার (সৈয়দ নঈমুদ্দিন)‌ মতো কোচদের যা সাফল্য আছে, তা বিদেশিদের নেই। সফল কোচ হিসেবে আমারও নাম আসবে। তাই লড়াইটা মুখে বা ডিগ্রি দিয়ে হবে না, হবে মাঠে।’‌
মহমেডানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করানোর চ্যালেঞ্জটা যে নিয়েছেন, সেটা সুব্রতর এই আত্মবিশ্বাসী মনোভাব থেকেই পরিষ্কার। মহমেডান খেলবে ডুরান্ডেও। আসল লক্ষ্য অবশ্যই আই লিগের মূল পর্বে ওঠা। সময়ে তার প্রস্তুতি নেবেন সুব্রত।‌‌

Spread the love

Check Also

কেমন হলো, মুখ্যমন্ত্রীর এপিসোডের প্রথম ঝলক ?

সুচরিতা সেন, বিনোদন ডেস্ক রোজ বিকেলে বাংলার প্রতিটি ঘরে বিনোদন শুরু হয় এই শো এর …

বছর শুরুতে শিব দরবারে মিমি

চ্যানেল হিন্দুস্তান, বিনোদন ডেক্স বর্তমানে বেনারস ভ্রমণে ব্যস্ত টলিউড নায়িকা। সেখানকার অলি-গলিতে ঘুরছেন। সদ্য ওটিটি …

রশিদ খানের ফিরে দেখা জীবনধ্যায়

বিনোদন ডেস্ক, সুচরিতা সেন, আবার নক্ষত্রপতন, না ফেরার দেশে চলে গেলেন ওস্তাদ রশিদ খান। গানের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *