চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বের সমস্ত দেশকে টেক্কা দিচ্ছে ভারত। দিনদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর উৎসবের মরসুমে এই আক্রান্তের তালিকায় আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে ভারত এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত ভারতের সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ হয় কেরলে। কেরল সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তড়িঘড়ি যথাযথ পদক্ষেপ নিলেও গত আগস্ট মাসে ১০ দিন ব্যাপী ওনাম উৎসব পালন হওয়ার পরই সংক্রমনের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে গিয়েছে পাঁচ গুণ।
দুর্গাপুজো বাঙালীদের সবথেকে বড় উৎসব। তাই ইতিমধ্যেই নতুন সাজে সেজে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ। আর এই সময় যদি জনসাধারণকে সতর্ক না করা যায় তাহলে দুর্গা পুজোর পর এই সংক্রমণের হার এক লাফে বহুগুণ বেড়ে যাবে। এমনটা আশঙ্কা করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি লিখেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
অবশ্য বাংলার পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুবত মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এই পুজোর সময় গ্রামের মানুষদের একটা বড় অংশ কিছুটা রোজগারের জন্য শহরে আসেন। আমরা যদি সেটা বন্ধ করে দিই তাহলে করোনার থেকে অনেক বেশি মানুষ হয়তো না খেতে পেয়ে মারা যাবেন। চাষবাসের মরসুম শেষ হওয়া যাওয়ার পরে এই মুহূর্তে গ্রামের একটা বড় অংশ রোজগারের জন্য শহরের দিকে তাকিয়ে থাকেন। উৎসবের মরসুমেই কিছুটা রোজগার সম্ভব হয়”।
যদিও এই মন্তব্যের কঠোর বিরোধিতা করেছে কেন্দ্র সরকার। শুধু তাই নয় তারা দাবি করেছেন একুশে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই কোন দিক বিচার বিবেচনা না করেই পুজোর ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি পুজো কমিটি গুলিকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার বিষয়েও কড়া নিন্দা জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। প্রসঙ্গত এই একই বিষয় নিয়ে রাজ্যের প্রতি প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।