চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো।
তো হলেন সমাজবাদী পার্টির( Samajwadi Party) বরিষ্ঠ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিং (Amar Singh)। শনিবার দুপুরে সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। একটু কালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই নিজের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতেন অমর। প্রথমদিকে দেশেই তাঁর চিকিৎসা হচ্ছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। এদিন সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন অমর সিং।
মৃত্যুর আগে এদিন সকালেই টুইটারে সক্রিয় ছিলেন অমর সিং। মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা শিক্ষাবিদ বাল গঙ্গাধর তিলককে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সকলকে ঈদের শুভেচ্ছাও জানান। তার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁর মৃত্যুর সংবাদ সম্প্রচারিত হয়।
১৯৯৬ সালে প্রথম রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন অমর সিং। ২০১০ সালে তাঁকে এসপি বহিষ্কারের পর ২০১৬ সালে ফের উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সমাজবাদী পার্টির সমর্থন নিয়েই রাজ্যসভা ভোটে নির্দল সাংসদ হিসেবে জিতেছিলেন তিনি।
২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১-২-৩ পরমাণু চুক্তি ঘিরে কেন্দ্রীয় রাজনীতি যখন টালমাটাল, কংগ্রেসের ড. মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের থেকে যখন সমর্থন তুলে নেয় বামেরা, সেইসময় সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে সরকার বাঁচাতে সফল হন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধী। দিল্লির রাজনৈতিক মহলের আলোচনায় অমর সিংহের হস্তক্ষেপেই তা সম্ভব হয়েছিল যায় বলে জানা যায়। তার জেরে রাতারাতি জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন অমর সিং। পরবর্তী সময়ে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে সম্পর্কে অমর সিংয়ের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জয়াপ্রদাও একই দিনে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।