নীল রায়
বেইমান নই! রাহুল গাঁধী সহ গোটা কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁকে “বেইমান” বলে অভিযোগ করে গিয়েছেন চাঁচলের কলমবাগানের আয়োজিত জনসভায়। কারণ দুবার মালদহ উত্তর থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতেও এবার মৌসম বেনজির নূর দলবদল করে তৃণমূল শিবিরে চলে গিয়েছেন। সভার রেশ কাটতে না কাটতেই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ওই মাঠেই জনসভা করে রাহুলকে পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। সেই মঞ্চ থেকেই প্রয়াত বরকত সাহেবের ভাগ্নী তথা মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম জানান দেবেন, “তিনি বেইমান নন।” প্রসঙ্গত, প্রথমে রাহুল গাঁধীর মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রের শামসির মাঠে জনসভা করার কথা থাকলেও। পরে সেই সূচী বদল করেন কংগ্রেস নেতারা। ঠিক হয় উত্তর মালদার কলমবাগানে সভা থেকে মৌসম বেনজির নূরকে আক্রমণ করবেন রাহুল গাঁধী সহ কংগ্রেসের নেতারা, হলও তাই। রাহুল বলেন, “একজন কংগ্রেসের নামে আপনাদের কাছ থেকে ভোট নিয়ে বেইমানি করে চলে গিয়ে অন্য দলে চলে গিয়েছে। আপনারা কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিন এটা কংগ্রেসের গড়।” রাহুল গাঁধীর সভা শেষ হতে না হতেই তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা সভা করে এই আক্রমণের জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তৃতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল ভোট মালদা উত্তর কেন্দ্রে। দফা বুঝে প্রচার কৌশল ঠিক হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসে। কিন্তু এআইসিসি সভাপতি এসে এভাবে তাদের প্রার্থীকে আক্রমন করে যাওয়ায় তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই তড়িঘড়ি মালদা আসছেন পরিবহন মন্ত্রী তথা মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা সভায় উপস্থিত থাকলেও, সেদিনের সভার মূল বক্তা হবেন মৌসম। এখান থেকেই তাঁকে “বেইমান” বলার জবাব দেবেন। সঙ্গে বোঝাবে কোতোয়ালির বরকত গনি খান চৌধুরীর প্রকৃত উত্তরসূরী তিনিই। মৌসম বেনজির নূরের আগে কংগ্রেসের বিধায়ক হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বরকত গনি খান চৌধুরীর ভাই আবু নাসের খান চৌধুরী। ২০১১ সালে সুজাপুরের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। দলবদল করে ২০১৬ সালে ভাইপো ঈসা খান চৌধুরীর কাছে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটের হেরে যান লেবু মামা। সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে। এবার মামার বদলে ভাই-বোনের লড়াই এই কেন্দ্রে। এবার কংগ্রেসের ইসা লড়বেন তৃণমূলের মৌসমের বিরুদ্ধে। তবে সবার আগে তিনি যে “বেইমান” নন তারই প্রমাণ দিতে সোমবারের জনসভায় সুর চড়াবেন প্রয়াত রুবী নূর কন্যা।