কৃষাণু নস্কর :
পাহাড় মন আর উন্নয়ন
এখন এখানে পাহাড় কেটে রাস্তা হচ্ছে।
ট্রলার, ক্রেন ধুলোয় কেমন ঝাপসা পাহাড়।
পিরিত করে নাম ধরে ছিল টুসি।
কখনো ফুল আবার কখনো টুস।
হাইওয়ে ব্রিজ ফাস্ট ট্রাক শুধু,
ধুলোয় ধুলোয় কেমন ফ্যাকাসে পাহাড়।
হিজলের মেলায় ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম।
সাঁঝ থেকে মাঝরাত, রাঙা ফুল খোঁপায় বেঁধে
তুমি নাকি ট্রাক, শুধু ইট বলি আর সিমেন্ট
মেখে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলে।
এখন পাহাড় কেটে টানেল হবে, রাস্তা হবে।
ধীরে ধীরে ঢলে পড়ছে জঙ্গল, ঝরে পড়ছে পলাশ আমার ফ্যাকাসে দুই বুকে।
সম্পর্কের স্মৃতি
সম্পর্কের মুখ ঢেকেছে বহুবার,
কখনো মাতৃস্নেহ কখনো মাতৃভূমি
কখনো কবিতার পাতায়।
সম্পর্কে আড়াল হয়েছে
ভেঙে পড়া সেতু, ফেলে আসা মায়া,
মমতা আর গূঢ়রাগ।
পৃথিবী ফুলের মতন ফুটে ছিল
ছেলেবেলায়, ভোরবেলায়;
এখন তোমার সাথে আপস-বাক্যে।
সময় আছে জড়িয়ে আবার ফুরিয়ে
আবার অগোচরে,
সেসব স্মৃতির পাতা ভেসে বেড়ায় আজ
অনন্ত নক্ষত্র লোকে।
কৃষাণু নস্কর: ১৯৮৪ সালের ২৯শে নভেম্বর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর মফস্সলে জন্ম। বেড়ে ওঠা বারুইপুর এবং তার সংলগ্ন গ্রাম্য এলাকায়। বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেশায়। আপতত দুটি কবিতার বই। প্রথমটি হল— ‘স্ফটিক রোদের গঙ্গাফড়িং’ ২০১৬ সালে প্রকাশিত ও দ্বিতীয় বই— ‘অশোকগাথা’ থেকে ২০২০ সালের কোলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত ‘সূর্যালোকে’। লেখালিখির শুরু অল্প বয়সে। গ্রাম, প্রকৃতি আর সাধারণ দৈনন্দিন জীবনধারা নিয়ে।