চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো:
ফরচুন মানে ভাগ্য। যাঁরা রান্নাঘরের খবর রাখেন তাঁরা জানেন একটি ভোজ্য তেলের নামও ফরচুন।
তা এ হেন ‘ফরচুন’ মার্কা ভাগ্যের পরিহাসটাও একবার দেখুন!
বহুবিধ পণ্য সামগ্রীর মত ফরচুন তেলের ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডার সৌরভ। কে না জানে হাসি মুখে হার্ট ভাল রাখার আশ্বাস দিচ্ছেন দাদা, হাতে তাঁর ফরচুনের কনটেনার।
আদানি গ্রুপের এই প্রোডাক্ট পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই দাদার হাতে দিব্য মানিয়ে গেছিল। ভাজাভুজি খেতে ভালবাসা বঙ্গসন্তানে জীবনের হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসেও সুস্থ শরীর, স্থির বুদ্ধি ও অবশ্যই সুস্থ হৃৎপিণ্ডের অধিকারী।
বাধ সাধল একটি মৃদু হার্ট অ্যাটাক। নির্দয় সোশ্যাল মিডিয়া মুহুর্তে ভাইরাল করে দিল ফরচুনের ডিবে হাতে দাদার ছবি। বার্তা একটাই, হার্ট ভাল রাখার তেল খেয়ে শেষে কী না এই! কিংবা বুঝিয়ে দেওয়া ফরচুন নামক তেল টি আর যাই করুক হার্ট ভাল রাখে না!
সব পেশারই কিছু দর্শন আছে, নৈতিকতা আছে এবং অবশ্যই খেলা আছে। বিজ্ঞাপন জগতে তো আছেই। মানুষ যাকে বাংলায় বলে পাবলিক (!) সেই তাঁদের মনোজগতে রাজ করা হল বিজ্ঞাপন পেশাদারদের কাজ। তাঁরা বিলক্ষণ বুঝেছেন সৌরভের হার্ট অ্যাটাক, সে যতই মাইল্ড হোক, তাঁদের কারবারের ওপর অ্যাটাক টি মেজর থেকে মেজরতর!
ফলে সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা দেরি করেন নি। ফরচুন তেলের সব বিজ্ঞাপন থেকে রাতারাতি বাদ পড়েছেন দাদা।
তাতেও সুরাহা হবে কি না তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় আদানি গোষ্ঠী। হয়ত ফরচুন ব্র্যান্ডটিকেই বাজার থেকে সরিয়ে ফেলতে হতে পারে।
চণ্ডী গাঙ্গুলীর বেহালার বাগানে কমল ফুটবে কি না, তা সময় বলবে। তবে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রের হৃৎকমলে এমন আকস্মিক আক্রমণ মোদি ঘনিষ্ঠ আদানিদের আপাতত বিড়ম্বনায় ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য।