চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো :
জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
সার্বজনীন প্রেমের এই বাণীটি শুনতে ভাল, উপলব্ধি করলে আরও ভাল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এই বাণীর মর্মার্থ সমাজে প্রয়োগ করতে গেলে প্রেম নয় কঠোর মনোভাব লাগে।
বিভিন্ন ইস্যুতে কঠোর ও অবিচল মনোভাব (কারও পছন্দ হোক বা না হোক) দেখানো মোদি সরকার পথ কুকুরদের ওপর অত্যাচারের বিষয়টিও কঠোর ভাবে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।
অন্তত এমনটাই মত পশুপ্রেমীদের একটি বড় অংশের।
তাঁরা মনে করছেন পথ কুকুর কে আঘাত করার শাস্তি যে দেশে কিছুদিন আগেও ছিল মাত্র ৫০ টাকার জরিমানা, সে দেশে একই অপরাধের জন্য ৫ বছর পর্যন্ত হাজতবাস কিংবা ৭৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, সরকারের সদিচ্ছাই প্রকাশ করে।
বিগত প্রায় ৬০ বছর ধরে চলে আসা পুরনো সেই দায়সারা আইনে এবার বড়সড় বদল আনতে চায় কেন্দ্র।
নতুন আইনের খসড়ায় ৩ ধরনের হিংসার উল্লেখ থাকছে।
স্বল্প আঘাত, আঘাতের ফলে শরীরের ক্ষতি এবং আঘাতের কারণে মৃত্যু।
পশুদের আঘাত করলে জরিমানা ৭৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এমনকি যিনি অপরাধটি করছেন, তাঁকে পশুটির মূল্যের ৩ গুণ টাকা জরিমানা হিসেবে দিতে হতে পারে। পশুটির মৃত্যু হলে অপরাধীর হাজতবাসের কথাও বলা হচ্ছে আইনের নতুন সংশোধনে।
চলতি আইনকে সংস্কার করার ভাবনা শুরু হয় কারণ পুরনো আইনটিতে পশুদের উপর অত্যাচারের ডিগ্রি নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও নির্দেশ ছিল না। তার উপর জরিমানার অঙ্কও এত কম যে, সহজেই এই ধরণের অন্যায় করা যেত। তাই আইনের ফাঁক দিয়ে যাতে কেউ গলে না যেতে পারে এবং একসঙ্গে সচেতনতার ড্রাইভটাও যাতে আরেকটু বেশি ছড়িয়ে দেওয়া যাওয়া যায়, তারই চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর এই আইন সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে আসেন।
রসিকজনেরা বলছেন, এবার শুধু সত্যজিতের গল্পের অসমঞ্জ বাবুর কুকুর নয়, কেউ দেখতে না পেলেও হাসবে এবার পথ কুকুরেরাও।