চ্যানেল হিন্দুস্তান ব্যুরো :
বড়দিন উপলক্ষ্যে ‘ছোট রাজনীতি’ করার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ যীশুর জন্মদিনে আসল ঘটনা টা জেনে নেওয়া দরকার।
সম্প্রতি কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেনস পার্কে বড়দিন উপলক্ষ্য বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বড়দিনের দিনটি আগে জাতীয় ছুটির দিন ছিল। এখন মোদি সরকার এসে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করে এই দিনটিকে জাতীয় ছুটির (National Holiday) মর্যাদা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
ইসলাম ধর্মের আবেগ নিয়ে ভোটের রাজনীতি করা রাজনৈতিক দলের এদেশে অভাব নেই। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি স্বাধীনতার পর থেকে মুসলিমদের উন্নয়নের প্রচারে যতটা মনোনিবেশ করেছেন, প্রকৃত উন্নয়নে মনোযোগী হলে সাচার কমিটির রিপোর্টে এদেশের মুসলিম সমাজের জীবনযাপনের মানের অমন করুণ ছবি উঠে আসত না বলেই মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীদের একটি বৃহৎ অংশ।
সে যাই হোক, রাজ্যে একুশের ভোটের আগে মরিয়া মমতা আর কোনও পক্ষকেই বিন্দুমাত্র ‘অবহেলা’ (ভোটের অঙ্কে) করতে রাজি নয়। সেই জন্য তথ্য বা সত্যের পরোয়া না করে মুখ্যমন্ত্রী খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের ছুটি নিয়ে বলেছেন তা সর্বৈব ভুল।
বড়দিন কোনওদিনই ভারতবর্ষে জাতীয় ছুটি ছিল না। এমনকি দিওয়ালি বা হোলি কিংবা ঈদ বা মহরম, কোনওটিই কোনওদিন জাতীয় ছুটির দিন ছিল না। এইসব গুলি গেজেটেড ছুটির আওতায় পড়ে। যার ফলে স্কুল কলেজ বা সরকারী প্রতিষ্ঠান এই দিনগুনিতে বন্ধ থাকে।
এ দেশে স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস এবং গাঁধী জয়ন্তী ছাড়া আরও কোনও জাতীয় ছুটি নেই বা ছিল না।
বিজেপি কে হেয় করতে গিয়ে দেশের নিয়ম-কানুনের এমন বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে সর্বভারতীয় স্তরে নিজের সন্মান নষ্ট করলেন বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।